Wednesday, March 12, 2025

ধূমপান ছাড়তে চাওয়া এত কঠিন কেন ধূমপায়ীদের কাছে?

- Advertisement -

ধূমপান –এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা নিয়ম করে প্রচার করা হয়। কেমন করে এই ধূমপান শরীরের হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের প্রবেশ ঘটায়, উল্লেখ করা হয় তার বিশদ বিবরণ। কিন্তু একটি মানুষ কীভাবে ধীরে ধীরে ধূমপান –এ আসক্ত হয়ে পড়ছে, তার প্রচার কখনওই করা হয় না।

ধূমপান
Image by Nabil Maaizi from Pixabay

‘ধূমপান ক্যানসারের কারণ’ বা ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’, বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে প্রতিটি সিগারেট, বিড়ি বা অন্যান্য তামাকজাত জিনিসের গায়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করা থাকে। তা স্বত্বেও নিয়মিত ধূমপায়ীরা কোনওভাবেই এইসব ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর পদার্থ’-টিকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। তারা জানেন, ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রকৃতই ক্ষতিকর এবং ইতিমধ্যে এর প্রভাবও তারা লক্ষ্য করে ফেলেছেন। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নতুন নতুন ধূমপায়ী তৈরি হয়ে চলেছে।

অনেকে জানছেন, বুঝছেন এবং ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতাও তৈরি করে ফেলছেন। কিন্তু কোনওভাবেই ছাড়তে পারছেন না। কেউ বা ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে আবারও ধূমপান –এ আসক্ত হয়ে পড়েছেন। কোনওভাবেই ধূমপান ছাড়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। কিন্তু কেন?

ধূমপান –এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা নিয়ম করে প্রচার করা হয়। কেমন করে এই ধূমপান শরীরের হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের প্রবেশ ঘটায়, উল্লেখ করা হয় তার বিশদ বিবরণ। কিন্তু একটি মানুষ কীভাবে ধীরে ধীরে ধূমপান –এ আসক্ত হয়ে পড়ছে, তার প্রচার কখনওই করা হয় না।

সম্প্রতি অ্যানিমেটেড বায়োমেডিকেল নামক একটি সংস্থা এই বিষয়ের উপর একটি অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করেছে। যেখানে ধূমপান –এ আসক্তির মূল কারণ তুলে ধরা হয়েছে।

- Advertisement -

ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, ধূমপান শুরুর দশ সেকেন্ডের মধ্যেই শরীরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে ধূমপান –এর মাধ্যমে নিকোটিন পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে। সে সক্রিয় করতে শুরু করে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশকে। যে অংশের নিউরনগুলি মানুষের সুখ ও ভাল লাগার অনুভূতির জন্য দায়ী। তাই ধূমপায়ীরা ধূমপান –এর মাধ্যমে বিশেষ সুখ ও স্বস্তি অনুভব করে।

এই অবস্থায় ধূমপায়ীদের মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলি আরও নিকোটিন চাওয়া শুরু করে। পরে অভ্যাসে পরিণত হলে উত্তরোত্তর তার চাহিদা বাড়তে থাকে। ধূমপায়ীরাও সম্মোহনের মতো তার চাহিদা পূরণ করতে শুরু করে। কোনওভাবেই এই চাহিদা কমতে চায় না।

এবার কোনও নিয়মিত ধূমপায়ী যদি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে কিছুদিনের জন্য ধূমপান বন্ধ রাখে, তার শরীরে নিকোটিনের অভাব দেখা দেয়। এই অবস্থায় মস্তিষ্কের ওই বিশেষ অংশের নিউরোট্রান্সমিটারগুলি নিয়মমাফিক নিকোটিন চাওয়া শুরু করে। ফলে শরীরে শুরু হয় অস্বস্তি।

এই অস্বস্তি কাটাতে ধূমপায়ীও ধীরে ধীরে পুনরায় ধূমপান –এর দিকে ঝুঁকতে থাকে। সে কোনওভাবেই ধূমপান –কে কাটিয়ে উঠতে পারে না। তবে অভ্যাসই সব কিছুর জন্য দায়ী। ধূমপায়ীরাও চেষ্টা করলে ধূমপান –কে ত্যাগ করতে পারে। তবে তার জন্য তাকে (অতি কষ্টেও) ধূমপান না করার অভ্যাস করতে হবে। এর জন্য চায় মনোবল বৃদ্ধি।

- Advertisement -

এই রকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সাম্প্রতিক খবর