Wednesday, March 12, 2025

যে ৬টি ফুল ভালবাসার বার্তা বয়ে আনে

- Advertisement -

ভালবাসার দিনে প্রেমিক প্রেমিকা তার ভালবাসার মানুষটিকে কিছু উপহার দেবে না, তা কি হয়! ফুল তার অন্যতম। সেই সঙ্গে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চকলেট। তবে কোন ফুল সে দেবে তার ভালবাসার মানুষটিকে, যা ভালবাসার প্রতীক হিসেবে তার মনের কথা বয়ে নিয়ে যাবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে।

ফুল
Image by Annette Meyer from Pixabay

ভ্যালেন্টাইন’স ডে মানেই প্রেমিক প্রেমিকার কাছে একটি বিশেষ দিন। সে তার ভালবাসার মানুষটিকে বিশেষ এই দিনে মনের কথা বা ভালবাসার কথা জানিয়ে থাকে। এক সময়ে এটি শুধুমাত্র পাশ্চাত্য সভাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। যদিও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের কোথাও এই বিশেষ দিনটির কথা আলাদা করে উল্লেখ করা নেই। কিন্তু প্রেমিক প্রেমিকার বুকে ১৪ ফেব্রুয়ারি মানেই ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালবাসার দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।

ভালবাসার দিনে প্রেমিক প্রেমিকা তার ভালবাসার মানুষটিকে কিছু উপহার দেবে না, তা কি হয়! ফুল তার অন্যতম। সেই সঙ্গে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চকলেট। তবে কোন ফুল সে দেবে তার ভালবাসার মানুষটিকে, যা ভালবাসার প্রতীক হিসেবে তার মনের কথা বয়ে নিয়ে যাবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বেশ কিছু ফুল –কে বেছে নেওয়া হয়েছে বন্ধুত্ব বা ভালবাসার চিহ্ন হিসেবে। এখানে তার ৬টি ফুল –এর কথা উল্লেখ করা হল।

rose 339236 1280
Image by Jörg Möller from Pixabay

১। গোলাপ : গোলাপ যে ভালবাসার প্রতীক, একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। বহু প্রাচীন পুঁথি-পত্রেও একথা উল্লেখ করা রয়েছে। একাধিক ভ্যারাইটির গোলাপ থাকলেও লাল বা গোলাপী গোলাপ ফুল –কে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে গোলাপের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে তার আদি নিবাস কোথায় তা আদৌ জানা যায় না।

২। লাইলাক : পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে ভালবাসা প্রকাশের প্রথম ফুল হিসেবে ধরা হয় বেগুনী রঙের লাইলাক ফুল –কে। ইউরোপে একটা সময়ে প্রেমিক প্রেমিকা তার প্রিয় মানুষটিকে মনে কথা জানাতে পত্রের সঙ্গে মিষ্টি সুগন্ধ বিশিষ্ট এই লাইলাক ফুল উপহার দিত। বহু কবি-সাহিত্যিকের কলমেও উল্লেখ রয়েছে এই ফুল –এর কথা। কবি এলিয়টের প্রিয় ফুলও ছিল এই লাইলাক।

- Advertisement -
bleeding hearts 173179 1280
Image by Jing from Pixabay

৩। ব্লিডিং হার্ট : যাকে বাংলায় বলা হয় ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’। উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের বহু সাজানো বাগানে এই লতানো ফুল গাছটি শোভা পায়। থোকা থোকা হৃদয় বা পান আকৃতির সাদা পত্রবৃন্তের মাঝে লাল রক্তের ফোঁটার মতো ফুল –গুলি অসাধারণ সৌন্দর্য বয়ে আনে। ব্লিডিং হার্ট নামটি দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার চিকিৎসক উইলিয়াম কুপার থমসন। তিনি তার মৃত স্ত্রীর প্রতি সম্মান জানাতে ফুল –টির এই নামকরণ করেন।

৪। ফার্স্ট লাভ : ফুল –টির নাম শুনলেই বুঝতে পারা যাবে ‘প্রথম ভালবাসা’। অর্থাৎ প্রথম ভালবাসা প্রকাশের জন্য ফার্স্ট লাভ বেশ সমাদৃত। দেখতে অনেকটাই রঙ্গন ফুল –এর মতো থোকা থোকা। তবে এর পুংকেশরগুলি অনেকটাই লম্বা হয়ে অদ্ভুত সুন্দর আকার ধারণ করে থাকে। ফুল –টির বেশ কতকগুলি ভ্যারাইটি রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় লাল ও সোনালী হলুদ।

flower 4004980 1280
Image by Toshiharu Watanabe from Pixabay

৫। ক্যামেলিয়া : ক্যামেলিয়া মূলত জাপান থেকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গোলাপের বিকল্প ফুল হিসেবে ক্যামেলিয়াকে বেছে নেওয়া হয়। কারণ গোলাপের সঙ্গে এর বিশেষ মিল রয়েছে। অনেকে ক্যামেলিয়াকে তাই ঠাণ্ডা দেশের গোলাপ বলে থাকেন। লাল, গোলাপী বা হলুদ রঙের ক্যামেলিয়া বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রেমিক প্রেমিকার অন্যতম প্রিয় ফুল হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।

cherry blossom 4987094 1280
Image by ASchuehlein from Pixabay

৬। চেরি মুকুল : জাপানের জাতীয় ফুল চেরি মুকুল। এদেশে এই ফুল –কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। জাপানীরা ভালবাসা বা বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে আজও প্রথম পছন্দের এই চেরি মুকুলকে ব্যবহার করে থাকে। হালকা গোলাপী বা তুষার শুভ্র সাদা চেরি মুকুল মূলত বসন্তের প্রথম থেকেই ফুটতে শুরু করে। সে সময় গাছে প্রায় কোনও পাতা থাকে না।

- Advertisement -

এই রকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সাম্প্রতিক খবর