ইতিমধ্যেই নিউরো টেকনোলজির ওপর জোর দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই টেকনোলজির প্রভাবে মস্তিষ্ক পুনঃস্থান করে মেমোরি র ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে বা নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়ে তা ব্যবহার করা যাবে। যদিও এই সমস্ত প্রক্রিয়া এখনও রয়েছে গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে। এই গবেষণায় সফলতা এলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন এমন কিছু মানুষ, যারা এক্সিডেন্ট বা আঘাতজনিত কারণে পুরনো স্মৃতি খুইয়ে ফেলেছেন।

শুনতে অবাক লাগলেও আগামীতে এমনটি ঘটতে চলেছে, মানুষ তার ইচ্ছা মতো নিজের মেমোরি কে ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছা হলে সে তার মেমোরি কে ডিলিট বা মুছে ফেলা অথবা পুনরায় নতুন তথ্যে সাজানোর মতো কাজগুলি খুব সহজেই করতে পারবে। শুধু তাই নয়, একজন ওপরজনের মেমোরি কেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
বিবিসি সংবাদ প্রতিবেদন সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই নিউরো টেকনোলজির ওপর জোর দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই টেকনোলজির প্রভাবে মস্তিষ্ক পুনঃস্থান করে মেমোরি র ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে বা নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়ে তা ব্যবহার করা যাবে। যদিও এই সমস্ত প্রক্রিয়া এখনও রয়েছে গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে। এই গবেষণায় সফলতা এলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন এমন কিছু মানুষ, যারা এক্সিডেন্ট বা আঘাতজনিত কারণে পুরনো স্মৃতি খুইয়ে ফেলেছেন।
এব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জিক্যাল সায়েন্সের নাফিল্ড বিভাগের সায়েন্টিস্ট লরি পাইক্রফ্ট। তাঁর ধারণা, আগামী ২০ বছরের মধ্যে মানুষ এই টেকনোলজির খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। আর তারও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মানুষ ভালো রকমভাবেই আয়ত্ত করে নিতে পারবে এই প্রযুক্তি।
তবে এই প্রযুক্তি নিয়ে মিঃ পাইক্রফ্ট আতঙ্কও প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এই টেকনোলজি মানুষের মেমোরি কে ইচ্ছা মতো চালনা করলে তার কুফলও ভোগ করতে হতে পারে সমগ্র বিশ্বকে। এক শ্রেণীর সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ যেমনভাবে ইন্টারনেটের সাইডগুলি হ্যাকিং করতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে হ্যাকিং হবে মানুষের ব্রেইনও। হ্যাকার যদি কোনওভাবে কোনও ব্যক্তির নিউরোস্টিমুলেটরের সূত্র জেনে ফেলতে পারে, তাহলে সে নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়ে ফেলতে পারবে ওই ব্যক্তির মেমোরি। হ্যাকার তখন ব্ল্যাকমেইল থেকে শুরু করে যে কোনও অপকর্ম করার ক্ষমতা পেয়ে যাবে।
এমনিতেই মানুষের হৃদপিণ্ডের খুঁটিনাটি এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বর্তমানে এমনও পেসমেকার মানুষের শরীরে স্থাপন করা হচ্ছে যা ইন্টারনেট দ্বারা সংযুক্ত। ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে ইচ্ছা মতো হৃদপিণ্ডের গতির পরিবর্তন করা সম্ভব। তবে একথা জোর দিয়েই বলা যায়, মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের টেকনোলজি আবিষ্কার হলে আমূল বদলে যাবে সমগ্র বিশ্বের মানব পরিবেশ।