Wednesday, March 12, 2025

মন্থর হচ্ছে পৃথিবী -র কেন্দ্রের ঘূর্ণনগতি, ঘটছে আকৃতির পরিবর্তন

- Advertisement -

এমনিতেই পৃথিবী -র কেন্দ্রের গঠন সম্পর্কে বেশ বিতর্ক রয়েছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর দাবি, পৃথিবী -র কেন্দ্র উত্তপ্ত কঠিন ধাতব পদার্থ দ্বারা গঠিত। যার বাইরে অবস্থান করছে উত্তপ্ত তরল পদার্থ। কেন্দ্রের কঠিন ধাতবটি ক্রমাগত আবর্তন করছে। যার ফলে উৎপন্ন হচ্ছে পৃথিবী -র অদৃশ্য চৌম্বকমণ্ডল।

পৃথিবী
Photo by Porapak Apichodilok from Pexels

এখনও পর্যন্ত পৃথিবী -র কেন্দ্রের গঠন অনেক বড় একটি রহস্য। কারণ মানুষ পৃথিবী -র বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তার কেন্দ্র সম্পর্কে এখনও প্রত্যক্ষ তেমন কিছুই জানতে পারেনি। যা কিছু জেনেছে তা অধিকাংশই গাণিতিক সূত্র অনুযায়ী। কেন্দ্রে সে কখনওই পৌঁছাতে পারেনি। আর অদূর ভবিষ্যতে আদৌ পৌঁছাতে পারবে কি না তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।

তাই প্রাকৃতিক কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করেই বিজ্ঞানীদের পৃথিবী -র কেন্দ্র সম্পর্কে গবেষণা চালিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম ভূমিকম্পের তরঙ্গ। যা টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ঘটে থাকে। এই অংশটি তুলনামূলক পৃথিবী -র কেন্দ্রের অনেকটাই কাছে।

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই পৃথিবী -র কেন্দ্র সম্পর্কে বুঝতে একই স্থানে সংঘটিত ভূমিকম্পের এই তরঙ্গের উপর নজর রাখছিলেন। সম্প্রতি এই তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখলেন। পৃথিবী -র কেন্দ্রের ঘূর্ণনগতি পূর্বের তুলনায় অনেকটাই মন্থর হয়ে গিয়েছে এবং গতির দিকও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি নেচার জিওসায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণামূলক এই তথ্যটি।

এমনিতেই পৃথিবী -র কেন্দ্রের গঠন সম্পর্কে বেশ বিতর্ক রয়েছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর দাবি, পৃথিবী -র কেন্দ্র উত্তপ্ত কঠিন ধাতব পদার্থ দ্বারা গঠিত। যার বাইরে অবস্থান করছে উত্তপ্ত তরল পদার্থ। কেন্দ্রের কঠিন ধাতবটি ক্রমাগত আবর্তন করছে। যার ফলে উৎপন্ন হচ্ছে পৃথিবী -র অদৃশ্য চৌম্বকমণ্ডল। এই চৌম্বকমণ্ডলই মূলত পৃথিবী -তে প্রাণের পরিবেশকে যুগ যুগ ধরে রক্ষা করে এসেছে। সূর্য বা বহিঃজগত থেকে ছুটে আসা ক্ষতিকারক রশ্মি এই চৌম্বকমণ্ডলের জন্যই পৃথিবী -র প্রাণযোগ্য পরিবেশকে কোনওভাবেই বিকৃত করতে পারে না।

- Advertisement -

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হওয়া একই স্থানের সংগঠিত ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন, পৃথিবী -র কেন্দ্রের গতি পৃথিবী -র মূল ঘূর্ণনগতির তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। তবে ২০১০ সালের পর সেই গতি ক্রমশ মন্থর হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও তাঁরা আরও লক্ষ্য করেছেন, পৃথিবী -র কেন্দ্র তার গতির দিক পরিবর্তন করেছে। এখন সে পূর্বের তুলনায় সম্পূর্ণ উলটো দিকে আবর্তন করছে।

- Advertisement -

এই রকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সাম্প্রতিক খবর