WHO বরাবরই মদ্যপান এর নেতিবাচক দিকগুলির কথা তুলে ধরে থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যক্ষ্মা, এইচআইভি, নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগেরও ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ২০১৯ সালের হিসাবে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মদ্যপান এর পরিমাণ ছিল গড়ে প্রায় ৫.৫ লিটার। যদিও ২০১০ সালের হিসাবে এই পরিমাণ ছিল কিছুটা বেশি, ৫.৭ লিটার গড়ে।

গত ২৫ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে শুধুমাত্র অ্যালকোহল বা মদ্যপান জনিত কারণে। ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে মদ্যপান এ মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনকভাবে বেশি।
সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করে থাকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা। মদ্যপান এর প্রবণতা তাদের মধ্যে রয়েছে গড়ে ৯.২ লিটার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আমেরিকার দেশগুলি। তাদের পরিমাণ গড়ে ৭.৫ লিটার। সমীক্ষা থেকে আরও জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে কম মদ্যপান করে থাকে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ার বাসিন্দারা।
WHO এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ওই বছর প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে শুধুমাত্র মদ্যপান এর কারণে। যা ছিল ওই বছর মোট মৃত্যুর প্রায় ৪.৭ শতাংশ। এদের অধিকাংশই ছিল পুরুষ। যদিও ২০১০ সালের পর থেকে এই মৃত্যুর হার কিছুটা কম।
বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম মদ্যপান এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে সববেশি। ২০১৯ সালের হিসাবে মদ্যপান জনিত কারণে মৃতদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশেরই বয়স ছিল ২০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। ওই বছর সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মদ্যপান এ আসক্তির সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ।
WHO বরাবরই মদ্যপান এর নেতিবাচক দিকগুলির কথা তুলে ধরে থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যক্ষ্মা, এইচআইভি, নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগেরও ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ২০১৯ সালের হিসাবে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মদ্যপান এর পরিমাণ ছিল গড়ে প্রায় ৫.৫ লিটার। যদিও ২০১০ সালের হিসাবে এই পরিমাণ ছিল কিছুটা বেশি, ৫.৭ লিটার গড়ে।
মদ্যপান এর কারণে প্রতি বছর গড়ে যে ২৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ঘটছে, তার অধিকাংশই বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণে। এছাড়াও মানুষের মৃত্যু ঘটে হৃদরোগ, সড়ক দুর্ঘটনা, আঘাত জনিত কারণে।