Thursday, April 10, 2025

প্রোটিন এর চাহিদা মেটাতে এবার বাতাস দিয়ে তৈরি হবে ‘কৃত্রিম প্রোটিন’

- Advertisement -

কৃত্রিম প্রোটিন তৈরির এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ইলেক্ট্রোলাইসিস মাধ্যমে জলের থেকে হাইড্রোজেনকে মুক্ত করা হয়। তারপর এক ধরণের ব্যাকটিরিয়াকে সেই হাইড্রোজেন এবং বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইড ও বিশেষ কিছু খনিজ পদার্থ খাওয়ানোর পর তৈরি হয় প্রোটিন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোলেন’। বিজ্ঞানীরা এই প্রোটিন কে গুণাগুণের দিক থেকে সয়াবিনের সাথে তুলনা করছেন।


প্রোটিন
Image by Steve Buissinne from Pixabay

প্রাত্যহিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিন অপরিহার্য অংশ। মাছ, মাংস, দুধ প্রভৃতি প্রাণীজ খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকলেও উদ্ভিজ্জ খাদ্যেও পরিমাণ মতো প্রোটিন মেলে। যারা নিরামিষাশী তারা উদ্ভিজ্জ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রোটিন এর চাহিদা মেটায়।

তবে বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের প্রোটিন এর চাহিদা মেটানো খুব সহজ ব্যাপার নয়। তার জন্য পালন করতে হয় প্রচুর গবাদি পশুর। এই গবাদি পশুর প্রতিদিনের খাদ্য জোগানো যেমন একদিকে কঠিন, ঠিক তেমনি তাদের প্রতিপালনে তৈরি হয় বিশাল পরিমাণের মিথেন গ্যাস। যা পরিবেশ দূষণ ঘটায় যথেষ্ট।

অন্যদিকে উদ্ভিজ্জ খাদ্যের মধ্যে সয়াবিন বা সয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, মাছ-মাংসের সমান প্রোটিন সয়াবিন বা সয়াতে পাওয়া যায়। তাই বিশ্ব জুড়ে সয়াবিনের চাষ ব্যাপক পরিমাণে হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই সয়াবিন চাষেও কম জমির প্রয়োজন হয় না। সেই সাথে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে জল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক। যার জোগান দেওয়া অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবেশের দূষণও ঘটে কিছুটা।

তাই বিজ্ঞানীরা এবার শুরু করতে চলেছেন কৃত্রিম প্রোটিন তৈরি করা। তাও আবার পরিবেশের বাতাস দিয়ে। বিবিসি সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি শহরে তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। গবেষণারত বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম প্রোটিন তৈরির এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ইলেক্ট্রোলাইসিস মাধ্যমে জলের থেকে হাইড্রোজেনকে মুক্ত করা হয়। তারপর এক ধরণের ব্যাকটিরিয়াকে সেই হাইড্রোজেন এবং বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইড ও বিশেষ কিছু খনিজ পদার্থ খাওয়ানোর পর তৈরি হয় প্রোটিন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোলেন’। বিজ্ঞানীরা এই প্রোটিন কে গুণাগুণের দিক থেকে সয়াবিনের সাথে তুলনা করছেন। তাদের দাবি, সয়া উৎপাদনে যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন হয়, এক্ষেত্রে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ প্রয়োজন হবে মাত্র। তাছাড়া এই কৃত্রিম প্রোটিন সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে তৈরি করা সম্ভব। তাই পরিবেশ দূষণ প্রায় হবে না বললেই চলে।

- Advertisement -

তবে এই প্রোটিন এর কোনও স্বাদ থাকবে না এবং খেতে হবে অন্য কিছুর সাথে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রোটিন কারখানা ভিত্তিতে তৈরি করতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে একবার শুরু করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব জুড়ে প্রোটিন এর চাহিদা মেটানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। মানুষের পাশাপাশি একে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে গবাদি পশুরাও।

- Advertisement -

এই রকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সাম্প্রতিক খবর