এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…’। ওড়িয়া ভাষার এই গানটি বিগত কয়েক মাস ধরে এখন তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে ফিরছে। পাড়ার যে কোনও অনুষ্ঠানেও বাজানো হচ্ছে বেশ কয়েক বার করে। গানটির জনপ্রিয়তা এখন এতটাই ঊর্ধ্বমুখী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এর কয়েকটি ডুপ্লিকেট গানও বেরিয়ে গিয়েছে DJ সহ।

মাঝে মধ্যেই এমন কিছু গান সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, রাতারাতি সেই গান ভাইরাল হয়ে যায় তরুণ প্রজন্মের কাছে। তার মানে বুঝুক আর না বুঝুক, বেশ কয়েক মাস ধরে পাড়ার অলিতে গলিতে বাজতেই থাকে দিনের একাংশ জুড়ে। সেই গান আড্ডা বা কাজের ফাঁকেও গুনগুনিয়ে ওঠেন কেউ কেউ। বাদ যায় না পাড়ার যে কোনও অনুষ্ঠান বা মঞ্চগুলিও। এমনকি কয়েকদিনের মধ্যে সেই গান DJ-এর সঙ্গেও হাজির হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই যেমন কয়েক বছর আগেই বীরভূম জেলার ভুবন বাদ্যকরের ‘বাদাম, বাদাম’ বা রানাঘাটের রানু মণ্ডলের ‘তেরি মেরি’ গানগুলি কত দিন যে মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কতবার যে ভিউ হয়েছে, তার হিসেব কেউ রাখেনি।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…’। ওড়িয়া ভাষার এই গানটি বিগত কয়েক মাস ধরে এখন তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে ফিরছে। পাড়ার যে কোনও অনুষ্ঠানেও বাজানো হচ্ছে বেশ কয়েক বার করে। গানটির জনপ্রিয়তা এখন এতটাই ঊর্ধ্বমুখী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এর কয়েকটি ডুপ্লিকেট গানও বেরিয়ে গিয়েছে DJ সহ। এমনকি চলতি চ্যাম্পিয়নস টফির ময়দানেও বিরতির ফাঁকে বাজানো হয়েছে ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…’ গানটি।
অথচ ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…’ গানটি সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে রিলিজ হয়েছিল ৬ বছর আগে। তেমন সাড়া পড়েনি তখন। হঠাৎ করেই ভাইরাল হওয়া শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে। বর্তমানে ২ কোটিরও বেশি ভিউ হয়েছে গানটি।
‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…’ গানটি যদিও ইউটিউবে রিলিজ হয়েছে ৬ বছর আগে, কিন্তু প্রথম রেকর্ড করা হয় দুই দশক আগে ১৯৯৫ সালে। ওড়িশার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় এই গানটি লিখেছিলেন সীতারাম আগরওয়াল। গেয়েছিলেন ওড়িয়া শিল্পী সত্যনারায়ণ অধিকারী।
২০০৫ সালে এই গানটিকে আবার প্রথমবারের জন্য সীতারাম আগরওয়াল নিজের পরিচালনা ও প্রযোজনায় মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। এখানে নায়কের ভূমিকায় দেখা যায় জনপ্রিয় ওড়িয়া মঞ্চাভিনেতা বিভূতি বিশ্বাল-কে।
তবে রিলিজের ৩০ বছর পর কেন গানটি এতটা জনপ্রিয় হল, তার সঠিক কোনও কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা, গানটির কথা ভুলভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া-ই তার জনপ্রিয়তা এত তুঙ্গে। এর সুরেও নতুনত্ব খুঁজে পেয়েছে তরুণ প্রজন্ম। আর তাই গানের সঙ্গে কোমর দোলাতেও ভুল করছে না তারা।
যদিও গানটি এক ব্যর্থ প্রেমিকের হাহাকার। কাজের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র যেতে হয়েছিল তাকে। ফিরে এসে দেখে তার প্রেমিকা (ননী)-র বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সে তার বেদনা এই গানটির মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছে।